বহুদিন পরে-
আবার কেন মনে পড়ে ক্ষণে-ক্ষণে!
ভীষণ হাওয়ার সন্ধ্যা
পৃথিবীঘূর্ণিগতি উড়ে যাচ্ছে ক্লান্ত পথের ধূলি।
চারি দিকে নীরবাকোলাহল
কোথাও জনমানব নেই, পশুপাখি নেই,
বিরান- বিরানভূমি,
নীড়হারা পাখির মতো বসে আছি আমি
মধ্যসাগরের রৌদ্রবালুকাবেলায়!
সূর্য জিজ্ঞাসিল যেতে যেতে-
কারে চাই?
কী অভাব ভবনে?
সমুদ্র গ্রাস করে তাকে মুহূর্তে!
সন্ধ্যা খেদান্তরে চলে যায়।
চন্দ্র এসে জিজ্ঞাসে-
কার লাগি হে উত্তম!
তুমি আজও বসে আছ স্মরণাতীতে?
কার প্রতীক্ষা তোমার জীবনে?
আকাশ আড়াল করে তাকে সাথে সাথে!
তৎক্ষণাৎ চিৎকারিয়ে উঠে রাত্রি
মেঘনাদে সিংহের মতো গর্জি-
কোথায়, কী ভয় তোর?
কোথায় লাগে ব্যথা?
কেন এত অসাড়?
কেন নিস্তব্ধ নিশ্চল?
কোথায় মিলে স্থান!
কে দিবে ঠাঁই!
অন্ধকার বলে যায় হাসি-
সকলেরই উত্তর আছে; তার আশ্রয় আমার কাছে।
১২ অগ্রহায়ণ, ১৪০২-
আজমান, আমিরাত।